শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
স্মার্টফোন, ট্যাবে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি

স্মার্টফোন, ট্যাবে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি

এই করোনাকালে বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। শিশুরাও। সময় কাটতে চাচ্ছে না কারোর। ফলে বাবা-মা জেনে অথবা না জেনে শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন নিজের স্মার্টফোন অথবা ট্যাব, যা শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

কী ধরনের ক্ষতি : শিশুটি চঞ্চল, খেতে চায় না, কথা শোনে না, ঘুমাতে চায় না, এটা-ওটা ধরে, জিনিস নষ্ট করেÑ হাজারো অভিযোগ। মুক্তির উপায়? শিশু খেতে চায় না? টিভিতে কার্টুন ছেড়ে শিশুকে বসিয়ে দাও। শিশু মুগ্ধ হয়ে কার্টুন দেখবে। এ সুযোগে শিশুর মুখে খাবার চালান হতে থাকবে। কার্টুন শেষ হওয়ার আগেই খাওয়া শেষ। সবার স্বস্তি। খেলার সঙ্গী বা জায়গার অভাবে যখন বিছানা, সোফা ইত্যাদি খেলার মাঠ বানিয়ে দাপাদাপি করে, তখন সবাই বিরক্ত হন। সমাধান? শিশুর হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব ইত্যাদি। যতক্ষণ শিশুটি বাটন টেপাটিপিতে ব্যস্ত, ততক্ষণ বাসায় স্বস্তি। এভাবেই চলবে দিন, মাস, বছর। শিশুটি এক সময় পুরোপুরি স্মার্টফোন বা ট্যাবে বিভিন্ন কার্টুন বা খেলায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলাফল, শিশুটি ক্রমে বেশি চঞ্চল হয়ে উঠবে, মেজাজ খিটমিটে হয়ে উঠবে, ক্ষুধামন্দা, ঘুমের অনিয়ম, আত্মীয়-স্বজন বা অন্য শিশুর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে অনীহা প্রকাশ, অল্প শাসনে অতিমাত্রায় বিরক্ত প্রকাশ বা অবাধ্যতা প্রদর্শন এমনকি জিনিসপত্র ভাঙচুর করবে।

চোখে প্রভাব : চোখ লাল হয়ে যেতে পারে; চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, সঙ্গে চোখ থেকে পানি ঝরতে দেখা যায়; ঘন ঘন চোখের পলক ফেলে; কখনো কখনো মাথাব্যথা ও চোখব্যথা হয়। শিশু অনেক সময় ঝাপসা দেখার কথা বলে। চোখ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুর কোনো দৃষ্টি সমস্যা নেই। এ অবস্থাটির নাম অকুলার স্ট্রেস।

করণীয় : চোখের জন্য এক ধরনের লুব্রিকেন্ট ড্রপ বা আর্টিফিসিয়াল টিয়ার পাওয়া যায়। এগুলো দিনে ৩ থেকে ৪ বার এক ফোঁটা করে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অবশ্যই চশমা নিতে হবে। সাময়িকভাবে হলেও মোবাইল বা ট্যাব বন্ধ রাখতে হবে। ঘুমের ব্যাপারে বেশি যতœ নিতে হবে। ট্যাব বা মোবাইল থেকে শিশুদের দূরে রাখতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

মনে রাখতে হবে, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে বর্তমান শিশুর বেড়ে ওঠার গল্পই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক পূর্ণাঙ্গ মানুষের গল্প। তাই যত কঠিন সময়ই আমরা পার করি না কেন, নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com